জাগ্রত সিলেট ডেস্ক :: তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও কিডনি ফাউন্ডেশন সিলেটের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেছেন, কিডনি ফাউন্ডেশন সিলেট কিডনি রোগীদের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের এই সেবায় নতুন প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করতে হবে, যাতে সমাজের মানুষের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা সৃষ্টি হয়। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কিডনি ফাউন্ডেশন পরিচালিত কিডনি হাসপাতালে আমরা মানুষকে যাতে ফ্রি ডায়ালাইসিস সেবা প্রদান করতে পারি সেই প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
রবিবার নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত কিডনি ফাউন্ডেশন সিলেট-এর বার্ষিক সাধারণ সভায় দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
কিডনি ফাউন্ডেশন সিলেটর সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. জিয়াউদ্দিন আহমদের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মেজর জেনারেল আজিজুর রহমান বীরউত্তম (অব.), ইঞ্জিনিয়ার সালাউদ্দিন আহমদ, ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ জাকি হোসেন, কিডনি ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান প্রফেসর হারুনুর রশিদ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর টাইনি এফ রশিদ, ট্রাস্টি মেম্বার মীর হাকিম, ডা. মালেকা জাফরিন আহমেদ, ডা. নাজমুস সাকিব, ইঞ্জিনিয়ার হাবিব আহসান বাবলু, চ্যানেল এস ইউকে-এর চেয়ারম্যান আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী ও ডা. খালেদ মহসিন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে বার্ষিক আয়-ব্যয়ের রিপোর্ট পেশ করেন কিডনি ফাউন্ডেশন সিলেট-এর কোষাধ্যক্ষ জুবায়ের আহমেদ চৌধুরী।
বার্ষিক সাধারণ সভার দ্বিতীয় পর্বে ‘প্রিভেনশন অ্যান্ড আরলি ডায়াগনোসিস অফ কিডনি ডিজিজ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে আলোচনা করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. জিয়াউদ্দিন আহমদ, ডা. হারুনুর রশিদ, অধ্যাপক ডা. সুধাংশু রঞ্জন দে ও ডা. খালেদ মহসিন।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডা. শোয়েব আহমেদ চৌধুরী, ডা. রেজওয়ানা, ডা. আরিফ রেজা, ডা. বায়েজিদ প্রমুখ।
সভায় জানানো হয়, কিডনি রোগীদের কল্যাণে সিলেট কিডনি ফাউন্ডেশন যুগান্তরকারী ভ‚মিকা পালন করছে। ২০২৩ সালে ১৫ হাজার ৪৩৩টি ডায়ালাইসিস সফলভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে। ২০২৩ সালে কিডনি ফাউন্ডেশন সিলেট ৭৮ লক্ষ ৫২ হাজার ৪১৬ টাকা ভর্তুকী দিয়েছে। কিডনি ফাউন্ডেশনের হাসপাতালে আসা শতকরা ৬১ ভাগ রোগীকে ভর্তুকী দিয়ে এই সেবা প্রদান করা হচ্ছে। তাছাড়া শতকরা ৮ ভাগ রোগীকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে, ১৮ শতাংশ রোগীকে অর্ধেক মূল্যে এবং ৩৫ শতাংশ রোগীকে বিভিন্নভাবে ভর্তুকী দিয়ে সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ২০১৮ সালে মাত্র ৬টি ডায়ালাইসিস মেশিন দিয়ে শুরু হওয়া এই হাসপাতাল বর্তমানে ২৬টি ডায়ালাইসিস মেশিনের মাধ্যমে ৩ শিফটে প্রতিদিন ৫৫ থেকে ৬০ জন রোগীকে ডায়ালাইসিস সেবা দিচ্ছে। সকল মহলের সহযোগিতার ফলেই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।
Leave a Reply